প্রধানতম দৈনিক সমূহের সংবাদ বিশ্লেষণ: আজ সোমবার ১৮ আগস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ ২৩ সফর ১৪৪৭

দৈনিক সংবাদ বিশ্লেষণ: সোমবার ১৮ আগস্ট ২০২৫


দেশ রূপান্তর: 'নিজভূমে পরবাসী ১২০ ভারতীয়'

দেশ রূপান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত থেকে কিছু নাগরিককে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশে জোর করে পাঠানো হচ্ছে, যারা প্রায়ই বুঝতে পারে না যে তারা সীমান্ত পার হয়ে গেছে। 

গত জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত ১২০ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এসব মানুষ সাধারণত সীমান্তের আশেপাশে ঘোরাফেরা করার সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নজরদারিতে আসে এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় তাদের আবার নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। 

এটি একটি গুরুতর মানবিক ও নিরাপত্তা সংকট তৈরি করছে, যেখানে এক দেশের নাগরিককে জোরপূর্বক অন্য দেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সীমান্ত ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। 

একইসঙ্গে, এটি মানব পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের একটি নতুন রূপ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে, যা দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে আরও নিবিড় সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে। 

এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো উভয় দেশের মানুষের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে এবং এর স্থায়ী সমাধানের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।


প্রথম আলো: 'প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কিছুটা কমবে'

প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতার কাঠামোতে ভারসাম্য আনার জন্য সংবিধান সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলোর মূল লক্ষ্য হলো রাষ্ট্রক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ এবং ভবিষ্যতে স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান রোধ করা। 

প্রস্তাবিত সংস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে একজন ব্যক্তির জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ এবং প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান না থাকতে পারার বিধান। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর জন্য একটি বাছাই কমিটির প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে সরকারি দল, বিরোধী দল ও বিচার বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন। 

মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন এবং প্রেস কাউন্সিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাষ্ট্রপতিকে সরাসরি নিয়োগের ক্ষমতা দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থা জারির ক্ষেত্রেও মন্ত্রিসভার অনুমোদন বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে। যদিও সব দলের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি, বিশেষ করে বিএনপি এই প্রস্তাবগুলোর বিরোধিতা করে বলেছে যে এতে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে পড়বে। 

তবে, যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কিছুটা সীমিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন হলে দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে।


নয়া দিগন্ত: 'পাচারকৃত অর্থে গড়া ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান'

নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) এক বড় সাফল্য পেয়েছে। তারা পাঁচটি দেশের সাতটি শহরে অনুসন্ধান চালিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে। 

এই পাচারকৃত অর্থে কেনা ৩৪৬টি সম্পদের তথ্য সিআইসি'র হাতে এসেছে। একই সঙ্গে, নয়টি দেশে ৩৫২টি পাসপোর্টের খোঁজ মিলেছে, যা কিছু বাংলাদেশি অর্থের বিনিময়ে অর্জন করেছে। এসব পাসপোর্ট ব্যবহার করে তারা মূলত ভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব লাভ করেছে। 

সিআইসি'র মহাপরিচালক আহসান হাবিবের মতে, এটি কেবল প্রাথমিক তথ্যের একটি অংশ এবং আরও অনেক কিছু উন্মোচন বাকি আছে। তিনি আরও জানান যে, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে অর্থ পাচারকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডাটাবেজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলেছিল, তবে সিআইসি এখন সেই তথ্য উদ্ধারে সক্ষম। 

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এই ঘটনাকে ‘ভয়াবহ দেশদ্রোহিতা’ আখ্যা দিয়েছেন এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সব সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিদেশে থাকা এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনার ওপরও জোর দিয়েছেন।


সমকাল: 'ভোটে তিন ক্যাম্পাস সরগরম, 'নড়বড়ে' ছাত্রদল নীরব'

সমকালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসগুলোতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলো প্যানেল গঠন ও প্রচারে ব্যস্ত থাকলেও, বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল এখনো নীরব ভূমিকা পালন করছে। 

দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে ছাত্রদলের সাংগঠনিক দুর্বলতা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব তাদের বর্তমান কার্যকলাপে স্পষ্ট। ৫ই আগস্টের পট পরিবর্তনের পরেও তারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। যদিও তারা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে, তবে প্রার্থী মনোনয়ন এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তাদের প্রস্তুতি অনেকটাই পিছিয়ে আছে। 

নব্বইয়ের দশকে এই তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের একক আধিপত্য থাকলেও এবার তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অনেক পিছিয়ে। এর বিপরীতে, স্বতন্ত্র প্রার্থী, ইসলামী ছাত্রশিবির ও বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলো ইতিমধ্যে নিজেদের মনোনয়ন জমা দিয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েছে। 

এই নির্বাচনগুলো দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, এবং ছাত্রদলের নিষ্ক্রিয়তা ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক সমীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে এসেছে।


যুগান্তর: 'ইসির সামনে যত চ্যালেঞ্জ'

যুগান্তরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বেশ কিছু বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলো হলো জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে উৎসাহিত করা। 

এছাড়া, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ রাখা এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে গুজব ও অপপ্রচার রোধ করাও বড় চ্যালেঞ্জের অন্তর্ভুক্ত। ইসি ইতিমধ্যে আরপিও সংশোধন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করেছে। তবে, রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য এবং চলমান সংকট ইসির জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। 

নির্বাচন কমিশনাররা মনে করেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে সেনাবাহিনী, নৌ, বিমানবাহিনী এবং কোস্ট গার্ডের মতো বাহিনীকে যুক্ত করা জরুরি। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে ইসিকে কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হতে পারে। তাই, ইসি এখন ধাপে ধাপে প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ করে কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী, যাতে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন সম্ভব হয়।


দ্য ডেইলি স্টার: 'Retired officials' promotions plunged civil service into crisis'

দ্য ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পরও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখনো বিশৃঙ্খল অবস্থায় রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, অবসরপ্রাপ্ত অনেক কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় পেছনের তারিখ থেকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি করেছে। 

৯ই ফেব্রুয়ারি একদিনেই প্রশাসন ক্যাডারের ৭৬৪ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়, যাদের অনেকেই দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসন অচল হয়ে পড়েছিল এবং এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি ও নিয়োগের আশ্রয় নেয়। কর্মকর্তারা অভিযোগ করছেন যে, আগের মতোই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব চলছে এবং প্রশাসন ক্যাডার অন্যদের তুলনায় বেশি সুবিধা পাচ্ছে। 

এর ফলে প্রশাসনের ভেতরে আস্থা ও মনোবল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, সরকার পরিবর্তনের পর জনপ্রশাসন সংস্কারের একটি সুযোগ ছিল, কিন্তু দুর্বল নেতৃত্বের কারণে তা কাজে লাগানো যায়নি। এর ফলে যোগ্য তরুণ কর্মকর্তারা দেশে চাকরি করার আগ্রহ হারিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন।


বণিক বার্তা: '১৬ হাজার ৩৯৯ শিক্ষকের ৫৪ শতাংশেরই নিয়োগ আওয়ামী লীগ আমলে'

বণিক বার্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত দেড় দশকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য বলছে, বর্তমানে ৫৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন শিক্ষক আছেন, তার মধ্যে ৫৪ শতাংশেরই নিয়োগ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। 

প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এসব নিয়োগের একটি বড় অংশ হয়েছে দলীয় বিবেচনা, স্বজনপ্রীতি, আর্থিক লেনদেন এবং যোগ্যতার শর্ত শিথিলের মাধ্যমে। এর ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ভালো ফল করেও কেবল রাজনৈতিক পরিচয়ের অভাবে শিক্ষকতা পেশায় আসতে পারেননি, অথচ দলীয় ঘনিষ্ঠরা সহজেই সুযোগ পেয়েছেন। 

ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মনে করে, এই দুর্নীতির মূল কারণ হলো রাজনৈতিক দলীয়করণ এবং জবাবদিহিতার অভাব। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের উচ্চশিক্ষার মান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং যোগ্য প্রার্থীরা আরও বেশি উপেক্ষিত হবেন। এই দুর্নীতি বন্ধ করতে আইন সংস্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা জরুরি।


দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড: 'Curbing inflation: Rice price a major roadblock to govt measures'

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের নানা উদ্যোগ থাকলেও চালের উচ্চমূল্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের জেনারেল ইকোনমিকস ডিভিশন (জিইডি)-এর আগস্ট মাসের প্রতিবেদন অনুসারে, মে মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান যেখানে ৪০ শতাংশ ছিল, জুলাইয়ে তা বেড়ে ৫১ শতাংশ ছাড়িয়েছে। 

বিশ্ববাজারে চালের দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকলেও বাংলাদেশে এখনো গত বছরের তুলনায় প্রতি কেজি চালে ৫ থেকে ১৭ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। জিইডি মনে করছে, বন্যা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আউশ ও আমন ধানের উৎপাদন কমে যাওয়া এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

অন্যদিকে, অর্থনীতিবিদরা এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ও মিলারদের সিন্ডিকেশন এবং মজুদকরণকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন। সরকার ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) ও খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও তা বাজারে পুরোপুরি প্রভাব ফেলতে পারছে না। 

সামগ্রিকভাবে, জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়ে ৮.৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, সমন্বিত আর্থিক ও রাজস্ব নীতির মাধ্যমে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর নাগাদ মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের নিচে নামানো সম্ভব হবে।


নিউ এইজ: 'July Charter draft disappoints some political parties'

নিউ এইজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রস্তাবিত জুলাইয়ের সনদের খসড়া কিছু রাজনৈতিক দলকে হতাশ করেছে। খসড়াটি তিনটি অংশে বিভক্ত—একটি প্রারম্ভিক অংশ, ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব এবং একটি চুক্তিপত্র। 

অনেক রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী ও অন্যান্য কয়েকটি দল মনে করছে যে, এই খসড়ার প্রারম্ভিক অংশে ইতিহাস আংশিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সংস্কার প্রস্তাবগুলো সব দলের মতবিরোধকে সঠিকভাবে প্রতিফলিত করেনি। 

তাদের মতে, এই খসড়াটি সংবিধানের গণতান্ত্রিক মূলনীতিকে ক্ষুণ্ণ করতে পারে। তারা আরও অভিযোগ করেছে যে, খসড়ায় কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা বাস্তবায়নের রূপরেখা উল্লেখ করা হয়নি। কিছু দল মনে করে, সাংবিধানিক সংস্কার পরবর্তী সংসদ ছাড়া বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়, যা খসড়ার চুক্তিপত্র নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে। সব মিলিয়ে, এই খসড়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়নি এবং এর কিছু ধারা নিয়ে তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দলগুলো ২০শে আগস্টের মধ্যে তাদের মতামত কমিশনে জমা দেবে।

 

Post a Comment

Previous Post Next Post