আমারদেশ পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত র্যাব ও অন্যান্য পদে থাকাবস্থায় ১,০৩০ জনকে গুম ও নৃশংসভাবে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের বক্তব্যে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। জিয়াউল আহসান গুমকৃত ব্যক্তিদের "আয়নাঘরে" রাখতেন, পরে বুড়িগঙ্গা বা শীতলক্ষ্যা নদীতে নিয়ে গুলি করে হত্যা করতেন।
তার একটি নৃশংস অভ্যাস ছিল—হত্যার পর ভিকটিমের মগজ ও রক্ত হাতে লাগলে তিনি "দারুণ ফিলিংস" অনুভব করতেন।
খবরে আরো উল্লেখ করা হয়, জিয়াউল আহসান শেখ হাসিনা ও তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক সিদ্দিকের সরাসরি নির্দেশে কাজ করতেন।
গুম কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুমের ৬০% ঘটনায় র্যাব জড়িত ছিল, যার মধ্যে জিয়াউলের নেতৃত্বাধীন টিম সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৫,০০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করেছে।
সাবেক সেনাপ্রধান ইকবাল করিম ভূঁইয়ার লেখায় জিয়াউল আহসানকে "অনিয়ন্ত্রিত ও বিপজ্জনক" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্বের ইতিহাসে এত ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কোনো সিরিয়াল কিলারের precedents নেই বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ বিশেষ কারাগারে ১৫টি মামলায় বন্দি রয়েছেন।
#জিয়াউল_আহসান #গুম #সিরিয়াল_কিলার #আমারদেশ #মানবাধিকার #বিচার_চাই