বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আসন্ন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসন থেকে ‘আওয়ামী ক্যাডারদের’ অপসারণের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাঠ পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া জরুরি, কারণ বর্তমান প্রশাসন দিয়ে তা সম্ভব নয়।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নীলফামারী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ দাবি করেন।
রিজভী আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত নয় এবং যারা এর দাবি তোলেন তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়। এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য উপযোগী নয় বলে তিনি মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে সব মতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা প্রয়োজন। ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ শিক্ষাঙ্গণে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চা টিকিয়ে রাখে।
নীলফামারী জেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে এই জেলায় বহু নেতাকর্মী হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন যে একজন মন্ত্রীর নির্দেশে গোটা জেলাকে রক্তাক্ত প্রান্তরে পরিণত করা হয়েছিল।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে এমন এক স্বৈরাচারী পরিবেশ তৈরি হয়েছে যেখানে কেউ ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারে না। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন।
রিজভী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাগ: রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি, নির্বাচন, প্রশাসন, আওয়ামী লীগ, পিআর পদ্ধতি, ডাকসু নির্বাচন, নীলফামারী, রাজনৈতিক নিপীড়ন, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান