📰 আজকের (৯ আগষ্ট ২০২৫) সংবাদপত্রের প্রধান খবর সংক্ষেপ

নয়া দিগন্ত: 'ঝুঁকি নিয়েই উড়ছে বোয়িং-৭৩৭'

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে থাকা বোয়িং-৭৩৭-৮০০ মডেলের একটি উড়োজাহাজ নিয়ে গুরুতর নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দীর্ঘ ছয় মাস ধরে হ্যাংগারে মেরামতের অধীনে থাকা উড়োজাহাজটি সম্প্রতি ঢাকা-ব্যাংকক রুটে যাত্রী পরিবহনকালে মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির শিকার হয়। 

পাইলটের বিচক্ষণতায় ১৪৬ জন যাত্রী নিয়ে ফ্লাইটটি নিরাপদে ঢাকায় ফিরে আসতে সক্ষম হওয়ায় একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই ফ্লাইটটির আগের দিন ঢাকা-সিলেট রুটেও একই উড়োজাহাজটিতে কেবিনের চাপ সংক্রান্ত সমস্যা (Pressurization issue) দেখা দিয়েছিল। প্রকৌশলীরা সমস্যাটির সমাধান হয়েছে বলে জানালেও পুনরায় একই ত্রুটি দেখা দেয়। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিমানের বহরে থাকা চারটি ৭৩৭-এর মধ্যে দুটি, বিশেষ করে 'এএফএল' ও 'এএফএম' রেজিস্ট্রেশনের উড়োজাহাজ দুটি, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এগুলোকে দ্রুত অপসারণ করা উচিত। জানা যায়, প্রাথমিকভাবে লিজে আনা এই উড়োজাহাজ দুটি সমস্যাযুক্ত হওয়ায় ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও লিজদাতা কোম্পানির শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বিমান কর্তৃপক্ষ এগুলো কিনে নিতে বাধ্য হয়। এই ঘটনার ফলে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।


মানবজমিন: '২৪ ঘণ্টায় চার জেলায় ৫ হত্যাকাণ্ড, ৬ মাসে সারা দেশে ১৯৪১ খুন'

সারাদেশে আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গাজীপুর, মৌলভীবাজার, নাটোর এবং সিলেটে পাঁচটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যা জনমনে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এর মধ্যে গাজীপুরে একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা, টঙ্গীতে স্যুটকেসে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার এবং অন্যান্য জেলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যার মতো ঘটনাগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। 

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে সারাদেশে মোট ১,৯৪১টি হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়ের হয়েছে, যার মধ্যে শুধু জুন মাসেই সর্বাধিক খুনের ঘটনা ঘটে। ভৌগোলিকভাবে ঢাকা রেঞ্জে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, খুন, ছিনতাই, অপহরণের মতো অপরাধের মাত্রা এমনভাবে বেড়েছে যে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্ষমতাকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। 

যদিও পুলিশ কর্তৃপক্ষ অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থানের কথা জানাচ্ছে, তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এবং ঘটনাবলি দেশের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।


সমকাল: 'আতঙ্কের জনপদ গাজীপুর, সাত মাসে ১০৩ খুন'

গাজীপুর জেলা বর্তমানে একটি আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে, যেখানে গত সাত মাসে ১০৩টি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫টি ঘটনাই ঘটেছে গাজীপুর মহানগরে। এসব হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে রাজনৈতিক কোন্দল, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জমি সংক্রান্ত বিরোধ এবং পারিবারিক কলহকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সম্প্রতি একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে হত্যা, আরেকজন সাংবাদিককে মারধর, স্যুটকেসে খণ্ডিত লাশ উদ্ধার এবং চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে মারার মতো ঘটনাগুলো মানুষের নিরাপত্তাহীনতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। 

এমনকি ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের মতো সংরক্ষিত এলাকা থেকেও অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধার হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, অধিকাংশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বেশিরভাগ ঘটনাই জমি ও পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ঘটেছে। 

তবে জেলার অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে, বিশেষ করে চান্দনা চৌরাস্তা ও টঙ্গীতে, পুলিশের দৃশ্যমান কঠোর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন। সামাজিক অবক্ষয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুর্বলতাকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।


কালের কণ্ঠ: 'সাংবাদিকদের ওপর সহিংসতা বাড়ছে'

বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর সহিংসতা, হুমকি এবং হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা মারাত্মক ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন। 

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর তথ্যমতে, গত এক বছরে ৪৯৬ জন সাংবাদিক বিভিন্ন ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং সম্প্রতি গাজীপুরে আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার ঘটনা সহ মোট চারজন সাংবাদিককে প্রাণ দিতে হয়েছে। চলতি বছরের প্রথম সাত মাসেই ২৭৪টি হামলায় ১২৬ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। 

পুলিশ, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের দ্বারা সাংবাদিকরা নিয়মিত হুমকি, লাঞ্ছনা ও মামলার শিকার হচ্ছেন। এমনকি নারী সাংবাদিকরাও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই ধরনের সহিংসতা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের অধিকারের ওপর একটি সরাসরি আঘাত। তাদের মতে, গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী রাখতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই।


যুগান্তর: 'সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র অব্যাহত, সক্রিয় হচ্ছে 'হিট প্ল্যান-২'

দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার একটি কথিত ষড়যন্ত্র আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়েছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। 'আগস্ট রিটার্ন হিট প্ল্যান' নামে পরিচিত এই পরিকল্পনাটি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নস্যাৎ করে দেওয়া হয়। 

তবে ষড়যন্ত্রকারীরা এখন 'হিট প্ল্যান-২' নামে নতুন এক পরিকল্পনা নিয়ে সক্রিয় হয়েছে, যা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই নতুন পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য তিনটি: জাতীয় নির্বাচন বানচাল করা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা সৃষ্টি করা এবং এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা যাতে শেখ হাসিনা পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফিরতে পারেন। 

কলকাতা ও দিল্লিতে গোপন কার্যালয় খুলে একটি চক্র এই ষড়যন্ত্র পরিচালনা করছে এবং তাদের নেপথ্যে গোয়েন্দা সংস্থার কিছু সদস্যের সহায়তা রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে গণমাধ্যমকে গুজব প্রতিরোধে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।


দেশ রূপান্তর: 'দুর্বল তদন্তে ৫৩% আসামি খালাস'

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলাগুলোতে সাজার হার আশঙ্কাজনকভাবে কম। ২০২৪ সালে নিষ্পত্তি হওয়া ২৯৫টি মামলার মধ্যে ১৫৭টিতেই আসামিরা খালাস পেয়েছে, যা মোট মামলার ৫৩ শতাংশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর পেছনে মূল কারণ হলো দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও তদন্তের পর্যায়ে দুর্বলতা। 

অনেক ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে মামলায় ফাঁকফোকর রাখা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের গাফিলতি, সময়মতো সাক্ষী হাজির করতে না পারা এবং বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা আসামিদের খালাস পাওয়ার পথ সহজ করে দেয়। দুদক সাধারণত সাধারণ মানুষের কাছ থেকে পাওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ শুরু করে, যার একটি বড় অংশই ব্যক্তিগত আক্রোশপ্রসূত হওয়ায় প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। 

তদন্ত ও অনুসন্ধানে ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয় না, যা পুরো প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে রেখেছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা, নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার এবং প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলেই কেবল সাজার হার বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


প্রথম আলো: 'বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ভর করছে দলগুলোর ওপর'

'জুলাই জাতীয় সনদ' বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটি কীভাবে আইনি ও সাংবিধানিক বৈধতা পাবে, তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত রয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, তারা কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি চাপিয়ে দেবে না, বরং বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠকে বসবে কমিশন। বিএনপি মনে করে, পরবর্তী নির্বাচিত সংসদই এই সনদের বৈধতা দেওয়ার অধিকার রাখে। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপির মতো দলগুলো সনদটিকে দ্রুত একটি আইনি কাঠামোর আওতায় এনে বাস্তবায়নের পক্ষে। 

ক্ষমতার ভারসাম্য, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্দিষ্ট করা এবং সংসদীয় কমিটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার মতো বিষয়গুলোতে কিছুটা অগ্রগতি হলেও চূড়ান্ত ঐকমত্য এখনো আসেনি। কমিশন মূলত দলগুলোর মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে।


The Daily Star (অনূদিত): '৭ মাসেও ডিসি ফিট তালিকা নেই'

গত সাত মাস ধরে জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগের জন্য নতুন "ফিট লিস্ট" বা যোগ্যতা তালিকা তৈরি করতে পারেনি সরকার। এই দীর্ঘসূত্রতার পেছনে মূলত দুটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে: রাজনৈতিক দলগুলোর চাপ এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে আসন্ন নির্বাচনী দায়িত্ব গ্রহণের প্রতি অনীহা। ডিসি পদটি একসময় অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত থাকলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেকেই এই দায়িত্ব এড়িয়ে চলতে চাইছেন। 

অভিযোগ রয়েছে যে, প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ অনুগত কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে, অনেক যোগ্য কর্মকর্তা সরকার পরিবর্তনের পর বদলি, বাধ্যতামূলক অবসর বা ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) হওয়ার ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। 

এছাড়া, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ এবং নির্বাচনী সহিংসতার আশঙ্কাও তাদের এই পদ গ্রহণে নিরুৎসাহিত করছে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় পুরনো কর্মকর্তারাই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা জেলা পর্যায়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।


বণিক বার্তা: 'বিটিআরসি আইন করেও কমাতে পারছে না গ্রামীণফোনের মনোপলি'

বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে গ্রামীণফোনের একচেটিয়া আধিপত্য অব্যাহত রয়েছে। গ্রাহক সংখ্যা, রাজস্ব আয় এবং তরঙ্গ বরাদ্দ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই বাজারের প্রায় অর্ধেক অংশীদারত্ব গ্রামীণফোনের দখলে। 

এই একক আধিপত্য কমাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০১৯ সালে গ্রামীণফোনকে 'তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন অপারেটর' (এসএমপি) হিসেবে ঘোষণা করে এবং বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। তবে এসব পদক্ষেপ সত্ত্বেও বাজারে গ্রামীণফোনের প্রভাব কমেনি, বরং তাদের মুনাফা এবং আয় উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী অপারেটর রবি এবং বাংলালিংক অভিযোগ করেছে যে, গ্রামীণফোন তার প্রভাবশালী অবস্থানের অপব্যবহার করে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করছে। 

এ বিষয়ে তারা প্রতিযোগিতা কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে, যার ভিত্তিতে কমিশন প্রাথমিক তদন্তে কিছু অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। বিটিআরসি বর্তমানে এসএমপি নীতিমালার কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন করছে, তবে কার্যকরভাবে এই মনোপলি ভাঙতে না পারায় বাজারের সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

 


আমারদেশ: ভারতের দখলে বাংলাদেশের 'আকাশ সংস্কৃতি': বাড়ছে বিদেশি চ্যানেলের আধিপত্য

'আমার দেশ' পত্রিকায় প্রকাশিত এম এ নোমানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদেশি, বিশেষ করে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের আধিপত্য আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। দেশে অনুমোদিত ২৩২টি টিভি চ্যানেলের মধ্যে ৩৯টি দেশীয় ফ্রি চ্যানেল। বাকি ১৯৩টি চ্যানেলের মধ্যে ১৫০টিরও বেশি ভারতীয় চ্যানেল। বেক্সিমকো গ্রুপের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ডিটিএইচ প্ল্যাটফর্ম 'আকাশ'-এর মাধ্যমে ১৩০টিরও বেশি চ্যানেল সম্প্রচারিত হচ্ছে, যার অধিকাংশই ভারতীয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংস্কৃতিক ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা এই পরিস্থিতিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) এর নেতারা একে 'আকাশ অপসংস্কৃতি' বলে অভিহিত করেছেন। তারা এর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তহীনতা ও কঠোর নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন। ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতারা বলছেন, সরকারের সুষ্ঠু নীতিমালা না থাকায় দেশ শতকোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

বেক্সিমকো গ্রুপের মালিকানাধীন আকাশ এবং তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ডিজিটাল ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডকে বিদেশি চ্যানেলগুলোর 'মা-বাপ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি, ডিসকভারি সহ বহু জনপ্রিয় ভারতীয় চ্যানেল বাংলাদেশে অবাধে সম্প্রচারিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বেশকিছু চ্যানেল অনুমোদন ছাড়াই সম্প্রচার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা বলছেন, বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ভারতে তেমন কোনো সুবিধা পাচ্ছে না, অথচ ভারত অবাধে আমাদের দেশে তাদের চ্যানেল সম্প্রচার করছে। এই ভারসাম্যহীনতা দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের জন্য হুমকি। তারা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগের ওপর জোর দিয়েছেন।


ট্যাগ (Tags): আজকের পত্রিকা, সংবাদ শিরোনাম, বাংলাদেশ খবর, নয়া দিগন্ত, মানবজমিন, সমকাল, কালের কণ্ঠ, যুগান্তর, দেশ রূপান্তর, প্রথম আলো, বণিক বার্তা, বোয়িং-৭৩৭, অপরাধ পরিস্থিতি, গাজীপুর, সাংবাদিক নিরাপত্তা, দুদক, গ্রামীণফোন, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, জাতীয় সনদ, ডিসি নিয়োগ

Post a Comment

Previous Post Next Post