📰 প্রধান খবর সংক্ষেপ
১. যুগান্তর — ‘অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর: প্রত্যাশা-প্রাপ্তির বিস্তর ফারাক’
তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি, কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজি, নারী নির্যাতন ও ছিনতাই অব্যাহত। বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে উন্নতি হয়নি, বরং বেকারত্ব বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রে দলীয়করণের ধারা শুধু নেতৃত্ব পরিবর্তনে সীমাবদ্ধ। টিআইবি বলছে, বিচার ও নির্বাচনি প্রস্তুতিতে অগ্রগতি থাকলেও সুশাসন, স্বচ্ছতা ও আইনের শাসনে ঘাটতি রয়ে গেছে।
প্রশাসনে সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতা সমস্যা জটিল করেছে।
২. প্রথম আলো — ‘৯০ দিনের ৩৬ দিনই রাস্তা আটকা’
এসব অবরোধে যানজট শহরজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, রোগী ও সাধারণ মানুষ মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন, শব্দদূষণে রোগীদের অবস্থা খারাপ হয়। ঢাকায় রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৯ শতাংশ, যেখানে দরকার অন্তত ২৫ শতাংশ, ফলে যানজট ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞরা গণপরিবহন বাড়ানো, প্রাইভেট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ এবং সমন্বিত পরিকল্পনার ওপর জোর দিচ্ছেন।
অনেকে মনে করেন, সভা-সমাবেশ মাঠ বা খোলা স্থানে হওয়া উচিত, বিশেষত ছুটির দিনে, এবং সরকারকে অযথা রাস্তা অবরোধে কঠোর হতে হবে।
৩. নয়া দিগন্ত — ‘সাফল্য স্থিতিশীলতা ও বিচারে ব্যর্থতা, সংস্কারে অনিশ্চয়তা’
বিদেশি বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে উন্নতি হয়েছে, বড় প্রকল্পে কর্মসংস্থানের ঘোষণা এসেছে। তবে সাংবিধানিক সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়ন শুরু হয়নি। মানবাধিকার ও কিছু মামলার স্বচ্ছতা নিয়ে সমালোচনা আছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু অভিযোজনে পদক্ষেপ নেওয়া হলেও রাজনৈতিক আস্থার সংকট কাটেনি।
বিরোধী দলের অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও সংলাপের উদ্যোগ এখন জরুরি।
৪. আজকের পত্রিকা — ‘বছরজুড়ে মব-আতঙ্ক’
পুরান ঢাকার সোহাগ হত্যা, কুমিল্লায় মা-সন্তান হত্যার মতো নৃশংস ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জেলায় শিক্ষক লাঞ্ছনা, দখল-বাণিজ্য ও প্রশাসনে জোরপূর্বক বদল ঘটেছে। ভুক্তভোগীরা মামলা করতেও ভয় পাচ্ছেন।
পুলিশ বলছে পরিস্থিতি উন্নতি করছে, কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন বাহিনী দুর্বল এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত কার্যকর কৌশল না থাকায় অপরাধ দমন সম্ভব হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অবস্থা চলতে থাকলে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।
৫. ঢাকা ট্রিবিউন — ‘ইউনূস: সরকারের দ্বিতীয় ধাপ শুরু, লক্ষ্য সুষ্ঠু নির্বাচন’
সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম একসাথে চলবে, সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে অগ্রগতি শিগগির জানানো হবে। যুদ্ধাপরাধের ৪টি মামলার বিচার চলছে, ২৭টি তদন্তাধীন। নির্বাচনের জন্য প্রায় ৮ লাখ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন হবে, সেনাবাহিনী ৬০ হাজার সদস্য দেবে।
এ পর্যন্ত সরকারের ৩১৫টি সিদ্ধান্তের ৭৮% বাস্তবায়িত হয়েছে। প্রশাসন ও অর্থনীতিকে স্থিতিশীল দাবি করে সরকার নির্বাচনি প্রস্তুতি জোরদার করছে।
৬. নিউ এইজ — ‘ডিসেম্বরের শুরুতে নির্বাচনের তফসিল’
এ বছর ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যাদের বয়স ১৮ হবে, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন, সেপ্টেম্বরে অনলাইন নিবন্ধন শুরু হবে। সরকারি কর্মচারী, ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও আটক ব্যক্তিরাও ডাক ভোটের আওতায় আসতে পারেন।
ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তি রোধে বিশেষ কমিটি গঠন হবে। ড্রোন ব্যবহার নির্বাচনী প্রচারণায় নিষিদ্ধ হবে।
৭. কালের কণ্ঠ — ‘আসনপ্রতি তিন প্রার্থী প্রস্তুত বিএনপির’
নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। প্রায় ৭০টি আসন জোটসঙ্গীদের দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তরুণ ভোটারদের আকৃষ্ট করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়েছেন।
বিএনপি মনে করছে, অবাধ নির্বাচন হলে তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
৮. বণিক বার্তা — ‘সামষ্টিক অর্থনীতির নাজুকতা কাটলেও আস্থার ঘাটতি’
দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অপরিবর্তিত। বিশ্লেষকদের মতে, গণমানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য আসেনি, অনেক সংস্কার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি।
৯. মানবজমিন — ‘গাজীপুরে সাংবাদিককে কুপিয়ে হত্যা’
১০-১২ জন সন্ত্রাসী চাপাতি দিয়ে হামলা চালিয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
টেগ : বাংলাদেশ সংবাদ, অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন ২০২৬, বিএনপি, অর্থনীতি, আইনশৃঙ্খলা, ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ঢাকা যানজট, মব ভায়োলেন্স, সাংবাদিক হত্যা