৩ আগষ্ট ২০২৫, আজকের সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনামের সারাংশ

আজকের সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনামের সারাংশ

 আমারদেশ : হাসিনার ইচ্ছাপূরণে গচ্চা ৩৩২ কোটি টাকা

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ইচ্ছায় ঢাকার পুরানো রোজ গার্ডেন নামে পরিচিত বাড়িটি কিনেছে সরকার। এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ৩৩২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই কেনাকাটা প্রক্রিয়ায় একাধিক আইন ও বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।

কেনা ও দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া

গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রাথমিকভাবে বাড়িটির দাম ১০৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও মালিকের আপত্তিতে তা বাড়িয়ে ২১০ কোটি ৫০ লাখ টাকা করা হয়। এরপরও শেষ পর্যন্ত ৩৩২ কোটি টাকা পরিশোধের অনুমোদন দেওয়া হয়। এই পুরো প্রক্রিয়ায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও তৎকালীন সংস্কৃতিমন্ত্রী, গণপূর্তমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

আইন ও বিধি লঙ্ঘন

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, একটি ব্যক্তিগত সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয় আইন এবং অন্যান্য প্রচলিত আইন ও বিধিমালা মানা হয়নি। আইন মন্ত্রণালয়ও ভেটিং না করে মৌখিক অনুমোদনে এই প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অভিপ্রায় পূরণে এই কেনাকাটা হয়েছে।

পুরাকীর্তি হিসেবে মর্যাদা ও পরবর্তী ব্যবহার

বাড়িটি এক সময় পুরাকীর্তি হিসেবে গেজেটভুক্ত হলেও পরে আদালতের আদেশে তা বাতিল হয়ে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত হয়। কিন্তু বর্তমান সরকার এটিকে পুনরায় পুরাকীর্তি দেখিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসে। পরে এটিকে তিনটি ভাগে ভাগ করে জাতীয় জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি এবং প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয়। এই বাড়িটির দাম ১০০১ টাকা নির্ধারণ করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়, যদিও এর প্রকৃত ক্রয়মূল্য ছিল অনেক বেশি।

গুলশানে আরেকটি বাড়ি

রোজ গার্ডেনের মূল মালিককে নগদ অর্থ ছাড়াও গুলশানে ২০ কাঠা জমির উপর নির্মিত একটি সরকারি বাড়ি দেওয়া হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য শত কোটি টাকার বেশি।

বণিক বার্তা: হ্রাস পেলেও যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানিতে এখনো শুল্ক দিতে হবে ৩৬.৫%

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি খাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতি এক নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। যদিও এই শুল্ক হার চীন ও ভারতের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক, তবুও রফতানিকারকদের ওপর এটি দীর্ঘমেয়াদি চাপ তৈরি করছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক পণ্যে এখন গড়ে ৩৬.৫% শুল্ক দিতে হচ্ছে, যার মধ্যে ২০% নতুন করে যোগ হয়েছে। এই শুল্কভার আমদানিকারকের ওপর থাকলেও, প্রায়শই ক্রেতারা এটি রফতানিকারকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়। এর ফলস্বরূপ, উৎপাদনকারীদের অটোমেশনের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে, যা কম দক্ষ নারী ও বয়স্ক শ্রমিকদের কর্মসংস্থানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। 

গবেষণায় দেখা গেছে, অটোমেশনের কারণে ৩০% এর বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) জানিয়েছে, পোশাক উৎপাদনে ২০% মার্কিন তুলা ব্যবহার করলে এই অতিরিক্ত শুল্ক থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তাই কাঁচামালের উৎস দ্রুত পরিবর্তনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। তবে, ক্রেতাদের অযৌক্তিক শর্ত মানতে গিয়ে রফতানিকারকরা এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় জড়িয়ে পড়ছেন, যা সামগ্রিকভাবে পুরো শিল্পের জন্য ক্ষতিকর।


প্রথম আলো: দলগুলোর মতামত পাওয়ার পর জুলাই সনদ চূড়ান্ত হবে

"জুলাই সনদ" নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহ শেষ হওয়ার পর এটি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে তৈরি হওয়া এই সনদে রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। 

সনদের লক্ষ্য হলো, ভবিষ্যতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা এবং এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। খসড়ায় তিনটি অংশ রয়েছে: পটভূমি, সম্মত সংস্কার প্রস্তাব এবং বাস্তবায়নের অঙ্গীকার। তবে, কিছু বিষয়ে এখনো কিছু দলের ভিন্নমত রয়েছে, যেমন সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, নারী প্রতিনিধিত্ব, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার। 

সনদটি যাতে ভবিষ্যতে বাস্তবায়ন বাধ্যতামূলক হয়, সেজন্য এটিকে আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কমিশন আশা করছে, দলগুলোর মতামত পাওয়ার পর চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হবে এবং আগামী নির্বাচনের পর দুই বছরের মধ্যে সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।


আজকের পত্রিকা: সাংবিধানিক স্বীকৃতি নিয়ে জট

'জুলাই ঘোষণাপত্র'কে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে এখনো কিছু জটিলতা রয়েছে। সরকার আগামী ৫ই আগস্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করার কথা জানিয়েছে এবং এটিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে। তবে, কোন ধারা বা কাঠামোর মাধ্যমে এটি করা হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান নিয়েছে। 

ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানের প্রস্তাবনায় অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এটিকে পুরো সংবিধানে যুক্ত করার পরিবর্তে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে চতুর্থ তফসিলে সংক্ষেপে উল্লেখ করার প্রস্তাব দিয়েছে। 

এই ঘোষণাপত্রে মুক্তিযুদ্ধ, জনগণের ইতিহাস, দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এবং নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের রূপরেখা সহ মোট ২৬টি দফা রয়েছে। এটি কি কেবল একটি রাজনৈতিক দলিল হিসেবে থাকবে, নাকি বাংলাদেশের সংবিধানিক কাঠামোতে নতুন পথ তৈরি করবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।


নয়া দিগন্ত: এখনই সংবিধান সংশোধনের সুযোগ দেখছেন বিশেষজ্ঞরা

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংবিধান সংশোধনের একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। যদিও সংবিধান সংশোধনের একমাত্র বৈধ পথ হলো সংসদের দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা, বর্তমান "জুলাই সনদ ২০২৫" এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পরিস্থিতি একটি "ডি ফ্যাক্টো" বাস্তবতা তৈরি করেছে। 

ড. কামাল হোসেনের মতো বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনগণের ব্যাপক সমর্থন বা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে যদি একটি নতুন ম্যান্ডেট তৈরি হয়, তাহলে জনগণের ইচ্ছাকে উপেক্ষা করা যায় না। সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, জনগণের ম্যান্ডেট একটি রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করতে পারে, তবে এর স্থায়িত্ব নির্ভর করবে বিচারিক ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির ওপর। 

অর্থাৎ, পরিবর্তনের শুরুটা জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে হলেও, শেষ পর্যন্ত এটিকে একটি বৈধ ও আইনগত কাঠামোতে নিয়ে আসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।


দ্য ডেইলি স্টার: CA may unveil polls month on Aug 5 or 8

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস আগামী জাতীয় নির্বাচনের মাস ঘোষণা করতে পারেন ৫ বা ৮ই আগস্ট। সরকারি সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৫ই আগস্ট এই ঘোষণা আসার সম্ভাবনা বেশি, কারণ এটি গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন, যা ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছিল। ৮ই আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারের গঠনের দিন। 

তিনি ইতোমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নির্বাচন ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিল ২০২৬-এ হতে পারে এবং ডিসেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা বলেছেন। একই দিনে, অর্থাৎ ৫ই আগস্ট, সরকার 'জুলাই ঘোষণা'ও প্রকাশ করবে, যা ঐতিহাসিক ছাত্র আন্দোলনের স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত হবে। 

এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপরেখা তৈরিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করবে।


ইত্তেফাক: রাজধানীতে এনসিপি ও ছাত্রদলের সমাবেশ আজ

আজ ঢাকায় দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি 'জাতীয় ইশতেহার' ঘোষণা করবে, যা 'জুলাই সনদ'-এর ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। দলটি চায়, সরকার দ্রুত জুলাই সনদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নের রূপরেখা স্পষ্ট করুক। 

অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শাহবাগে একটি সমাবেশ করছে, যা গত বছর ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের স্মরণে আয়োজিত হচ্ছে। এই সমাবেশে দেশজুড়ে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণের পাশাপাশি লন্ডন থেকে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেবেন। 

উভয় দলই তাদের কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপ্রবাহে নিজেদের ভূমিকা তুলে ধরতে চাইছে। একই দিনে দুটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি এবং এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় ঢাকায় যানজটের আশঙ্কা রয়েছে।


সমকাল: ২৫৪ কোটি টাকার প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদনই জাল

ঢাকার মিরপুরে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ২৫৪ কোটি টাকার দুটি আবাসিক প্রকল্পে জাল সমীক্ষা প্রতিবেদন ব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। একটি নামকরা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সই ও সিল জাল করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়, যা তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এই প্রকল্পে ১৮১টি ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা ছিল। এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। 

প্রকল্পের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, প্রভাবশালী কর্মকর্তা এবং মন্ত্রীদের জন্য বিশেষ কোটা রাখা হয়েছিল, যা সাধারণ মানুষের ফ্ল্যাট পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে দেয়। এছাড়া, কর্মচারীদের জন্যও ফ্ল্যাট কোটা ছিল, কিন্তু কর্মকর্তারা একাধিক ফ্ল্যাট নেওয়ায় তাদের প্রকল্প আটকে দেওয়া হয়। 

স্থপতি ইকবাল হাবিব এই ফ্ল্যাট কোটার অপব্যবহার বন্ধ করে ফ্ল্যাটগুলো সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।


মানবজমিন: যশোরে ব্যবসায়ীকে গর্তে পুঁতে নির্যাতন, ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়

যশোরে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বুক সমান গর্তে পুঁতে রেখে ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায়ের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি করেছেন শাহনেওয়াজ কবীর নামের একজন ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় স্থগিত থাকা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান জনি এবং এক সাংবাদিক মফিজ উদ্দিন দপ্তরী জড়িত বলে দাবি করা হয়েছে। 

২০২২ সালের আগস্ট মাস থেকে এই চাঁদাবাজির ঘটনা শুরু হয়। গত বছরের সেপ্টেম্বরে শাহনেওয়াজকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে দুই দফায় মোট ৪ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করা হয় এবং তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। নির্যাতিত ব্যবসায়ী বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন। তার স্ত্রী আসমা খাতুন সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ জানালেও এখনও পর্যন্ত কোনো সহায়তা পাননি।


কালের কণ্ঠ: বহুমাত্রিক দারিদ্র্যে চার কোটি মানুষ

পরিকল্পনা কমিশনের এক নতুন জরিপ অনুসারে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ, অর্থাৎ প্রায় চার কোটি মানুষ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের শিকার। এই দারিদ্র্য শুধুমাত্র আর্থিক নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবনমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোকেও অন্তর্ভুক্ত করে। 

এই সূচকটি ২০১৯ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে দেখা যায়, বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ২৪%। জরিপে আরও দেখা গেছে, শিশুদের মধ্যে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে বেশি (২৯%) এবং শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামে এই হার বেশি (২৭%)। 

জেলাভিত্তিক বিবেচনায়, বান্দরবানে এই হার সর্বোচ্চ, ৬৫%। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সূচকটি জেলা ও বিভাগীয় বৈষম্য চিহ্নিত করতে এবং সরকারি নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে, যা টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।


নিউ এইজ: দেশজুড়ে অজানা জ্বরের আতঙ্ক

দেশজুড়ে একটি অজানা ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, যা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে তুলেছে। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও টাইফয়েডের মতো রোগের পাশাপাশি এই নতুন জ্বর পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। 

আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, গাটে ব্যথা, কাশি ও সর্দি সাধারণ লক্ষণ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো নির্দিষ্ট রোগ ধরা পড়ছে না। যদিও এই জ্বরের কারণে মৃত্যুহার কম, তবে এর কারণে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এবং কর্মঘণ্টা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্দ্র আবহাওয়ার কারণে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং গর্ভবতী নারী, শিশু ও বয়স্করা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই বিষয়ে দ্রুত গবেষণা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছেন।


টেগ: পোশাক শিল্প, জুলাই সনদ, বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, দারিদ্র্য, স্বাস্থ্যসেবা, মানবাধিকার, দুর্নীতি, মুহাম্মদ ইউনুস, নির্বাচন

Post a Comment

Previous Post Next Post